আলকুশি একটি ভেষজ উপাদান যা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত হয়। এর রয়েছে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং প্রোটিন, ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ বেশ কিছু পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ।
▶ আলকুশি গুঁড়ার পুষ্টিমান :
প্রোটিন: উচ্চমাত্রায় বিদ্যমান, যা পেশি গঠনে সহায়তা করে।
ফাইবার: হজমশক্তি বৃদ্ধি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট: শরীর থেকে টক্সিন দূর করে।
মিনারেল: ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম ইত্যাদি।
অ্যামিনো অ্যাসিড: বিশেষত L-Dopa, যা ডোপামিন উৎপাদনে সহায়তা করে।
▶ আলকুশি গুঁড়ার উপকারিতা :
স্নায়ুবিক স্বাস্থ্য : ডোপামিন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্ট্রেস, উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতা কমাতে সাহায্য করে।
হরমোন নিয়ন্ত্রণ : টেস্টোস্টেরন ও অন্যান্য হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে।
যৌন শক্তি বৃদ্ধি : শুক্রাণুর গুণগত মান ও সংখ্যা উন্নত করে। দেহের যৌনশক্তি বৃদ্ধি ও হরমোন গঠনে ভূমিকা রাখে।
হজমশক্তি বৃদ্ধি : ফাইবার থাকার কারণে হজমে সহায়তা করে।
শক্তি ও সহনশীলতা বৃদ্ধি : এটি দেহের শক্তি বাড়াতে সহায়ক এবং শারীরিক কর্মক্ষমতা উন্নত করে।
পাকস্থলীর স্বাস্থ্য রক্ষা : গ্যাস্ট্রিক ও অম্লতা কমাতে সহায়তা করে।
▶ আলকুশি গুঁড়ার ব্যবহারের নিয়ম :
প্রতিদিন সকালে এবং রাতে ১ চা চামচ (প্রায় ৫ গ্রাম) গুঁড়া ১ গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে খেতে পারেন।
খাওয়ার সময় : খালি পেটে বা খাবারের ৩০ মিনিট আগে সেবন করা উত্তম।
মধু বা দুধের সাথে : ভালো স্বাদের জন্য মধু বা দুধের সাথে মিশিয়ে সেবন করতে পারেন।
দৈনিক সীমা : অতিরিক্ত ব্যবহার এড়িয়ে চলুন (১০ গ্রাম বা তার বেশি নয়)।
▶ সতর্কতা :
গর্ভবতী বা স্তন্যদায়ী মায়েদের সেবনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
অতিরিক্ত সেবনে বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া বা অস্বস্তি হতে পারে।
যদি ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খান, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।